মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রম। কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গ্রাহকেরা ঝুঁকি নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালা”েছন। এসব জরাজীর্ণ ভবন ধসে পড়ে যে কোন সময়ে ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবন সংস্কার কিংবা ’ানান্তরের নেই কোন উদ্যোগ ।
উপজেলার পৌর সদরে অব¯ি’ত শত বছরের জরাজীর্ণ ভবনে কয়েক যুগ ধরে
ঝুঁকি নিয়ে চলছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মোরেলগঞ্জ উপজেলা শাখার
কার্যক্রম। ১৯৭২ সালে মোরেলগঞ্জ বাজার সদরে কৃষি ব্যাংক শাখার কার্যক্রম
শুরু হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রাহক সহ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
চালিয়ে যা”েছন ব্যাংকিং কার্যক্রম। বৃটিশ আমলের জমিদারি প্রথা
পরিচালনার জন্য নির্মিত এ ভবনের ইট সুরকি পলেস্তরা প্রতিনিয়ত খসে খসে
পড়ছে। পলেস্তরা খসে পড়ে এ পর্যন্ত শতাধিক গ্রাহক সহ ১০-১২ জন
কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হয়েছে। বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে
পানি সয়লাব হয়ে যায়। জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যে মাঝে মাঝে বিষধর সাপও দেখতে
পাওয়া যায় বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন। ভবনের মধ্যে ভবনের এ অব¯’ার কারণে
গ্রাহকরা ব্যাংকের ভিতরে লেনদেন করতে ঢুকতে ভয় পায়। দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরের
ব্যাংকিং কার্যক্রমে ব্যাংকটি ¯’ানান্তরের জন্য দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখা যায়
না। এ ব্যাংকের মাধ্যমে চলে কৃষি ঋণ, বয়স্ক ভাতা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম।
বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে এ ভবনে লেনদেন করতে আসতে হয় শ’শ’ গ্রাহক ও
এলাকার কৃষককে।
কৃষি ব্যাংকের মোরেলগঞ্জ এ শাখার ব্যব¯’াপক জগলুল কবীর জানান, ব্যাংকের
ভবনের সংস্কারের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ভবনের কার্যক্রম অবিলম্বে ¯’ানান্তর করে পরিচালনা করা না হলে ভবন ধসে
মোরেলগঞ্জে ট্রাজেডির আশঙ্কা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিমত।
ছবির ক্যাপশনঃ মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের ঝুঁকিপূর্ণ কৃষি ব্যাংক ভবন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।